জমাট নির্জনতায় জড়ানো আজকের এই
নিশীথের শেষ প্রহর । ভূতুড়ে কেমন এক
অনুভূতি ছড়ায় এই আমাতে।
বসে আছি আমি পার্কের বেঞ্চিতে
কৃষ্ণপক্ষের গোল রূপোলি চাঁদ-আমার পানে চেয়েছে
বিষন্ন দৃষ্টি মেলে। অবাক হয়েছে হয়তবা
উদভ্রান্তের মত নিজেই আমি নিজেকে দেখছি বলে।
ওতো জানে না হিংস্রতা আমার
ঢেকে গেছে জ্যোছনাধারার স্নিগ্ধতায় !
ঘুমিয়ে পড়েছে যান্ত্রিকতা যত শহরের,ব্যস্ততার মুখোশ
ঝেড়ে ফেলে শান্ত এখন ঢাকা ।
ঘুমন্ত গাছেরা এখন, স্বপ্নে হয়ত আকঁছে
অব্যক্ত কথার ব্যক্ত চিত্র রূপ,সুর ভাজে নতুন গানের।
পার্কে ভেসে বেড়ানো গনিকারাও হয়ত এখন
ফিরেছে নীড়ে,নির্লিপ্ত দেহের হিসেবের লেনদেন সেড়ে।
স্বপ্ন দেখে মুক্তির,ক্লান্ত শরীরে ঘুমের ঘোরে
আনমনে ধিক্কার দেয় পৃথিবী,সমাজটাকে।
বসে আছি তখনও আমি, ডুবে থাকি একাকীত্বের
মগ্ন চন্দ্রালোকে ।জ্যোৎস্না ধারায় ভিজে
আমি জ্বেলে যাই বুকের গহীনে ভালবাসার
অগ্নি মশাল । হৃদয়ের অনন্তে মোর তু্লে রাখি
শুভ্রতম গোলাপ, কাঁটা ছাড়াই শুধু তোমারই জন্যে।
ঘুমিয়ে পড়েছ তুমি হয়তবা, তোমার চোখ জুড়ে আসা
জলের ধারা, মুছিনি আমি । অনুতপ্ত এ মন
এখন খোঁজে ক্ষমার আশ্রয়। তাই কবিতা লিখি
আজ রাত্রে-যার চরণে পঙতিতে উপমায় উৎপ্রেক্ষায়
একমুঠো বেদনার অঝোর বর্ষণ। হয়ত একদিন
দেখা হবে তার অচেনা পৃথিবীর রূপ,মিলনেই হয়ত
হবে সব সমাপন-কাল প্রভাতে। তুষার ঝরা
রাতের ছোবলে জীর্ণ হওয়া অধরখানি তব,
ছুয়ে দেবে নতুন অরুণ রক্তিম আভায়।
আমি তখন ভালবাসার গানে হব বিভোর,খুঁজব আশ্রয়
বানীর মাঝে । দেবো তুলে তোমার হাতে সর্বস্ব আমার।
ভোর চারটা চল্লিশ, জানুয়ারি ১৪, ২০১১
উৎসর্গ : যে আমায় এখন বেদনা দেয় সবচেয়ে বেশি
আমার ভালবাসা, তোমায় নিয়ে লেখা প্রথম কবিতা ।